শীর্ষ নিউজ, ঝিনাইদহ : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামে দুইজন নিহত হওয়ার পর চরম আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
মামলার আসামিরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে জনমানবহীন এসব বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে একপক্ষের অতর্কিত হামলায় মোশাররফ হোসেন ও তার ভাতিজা নাইম হত্যার পর তাদের অনুসারীরা প্রতিশোধের নামে নিরীহ মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। লুটে নেয় ঘরের মালামাল।
আর এই তাণ্ডবের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিন, নায়েব আলী ও শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল সুরী। তাদের সহযোগিতায় মজিদ সর্দার, মস্ত সর্দার, রুবেল, মারুফ, আতর বিশ্বাস, সবেদ আলী, বিল্লাল মোল্লা, মাজেদ বিশ্বাস, সাইদুল বিশ্বাস, মিহির বিশ্বাস, সামারুল বিশ্বাস, সোহান বিশ্বাস, বল্টু, সাহেব বিশ্বাস, শিমুল বিশ্বাস, টিকারী গ্রামের শিপন, রিয়াজ ওরফে চন্নু এবং ইমরোজ বাড়িঘরে লুটপাট চালায় ।
ভুক্তভোগীদের দাবি, বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। বহু পরিবার নারীদের সন্তানসহ নিরাপত্তাহীনতায় অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
একাধিক পরিবারের অভিযোগ, যারা নিরীহ তারা আজও হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। অথচ প্রতিপক্ষরা লুটপাট, তাণ্ডব চালালেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন প্রকার লুটপাট বা ভাঙচুর রোধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দলবদল করে সামাজিক দলে ভেড়ানো নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন মোশাররফ হোসেন ও ৪ মে তার ভাতিজা নাইম মারা যান। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় ৪৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
শীর্ষ নিউজ/প্রতিনিধি/ এনআরএফ