
shershanews24.com
প্রকাশ : ০৬ মে, ২০২৫ ০৪:১৮ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ, ঢাকা: এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন অথবা বৃত্ত ভরাট করতে শিক্ষার্থী বা পরিবারের সদস্য কিংবা অন্য কারও সাহায্য নিলে শাস্তি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের কাজ আইনগতভাবে অবৈধ এবং কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ ধরনের কাজ করলে বা করার চেষ্টা করলে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (৫ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা একটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করান কিছু শিক্ষক। অনেকে আবার পরিবারের সদস্য যেমন স্ত্রী, সন্তান ও ভাই-বোনকে দিয়ে খাতা দেখান।
বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসি পরীক্ষার খাতা বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ গোপন সূত্র থেকে আসায় সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় বিষয়। এটি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে (স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন) দিয়ে বৃত্ত ভরাট, পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করানো যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কাজ পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সব পরীক্ষককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
চিঠিতে পরীক্ষার উত্তরপত্র গোপনীয়তার সঙ্গে মূল্যায়ন এবং সংরক্ষণ করার জন্য প্রধান পরীক্ষক এবং পরীক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষনিউজ