মো: আনিছুর রহমান, বেনাপোল: বেনাপোল পৌর কৃষকদলের সহসভাপতি জসিম উদ্দিনকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার জন্য নিলা আক্তার নামে এক নারী ধর্ষন মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগি জসিম অভিযোগ করেছে, এই মামলাটি মনগড়া এবং অর্থ আদায়ের জন্য করা হয়ছে। যশোর এর নিলা আক্তার একাধিক বিবাহের মহারানী এবং দুই সন্তানের জননী দেহপসারিনী । ।
নিলা যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের সরোয়ার এর মেয়ে। এবং জমিস উদ্দিন বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুর গ্রামের মোশরাফ হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, তাকে যশোর শাহনাজ হোটেলে এবং বেনাপোল ডায়মন্ড হোটেলে নিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করা হয়। ওই হোটেল দুইটি যাচাই বাছাই করে নিলা যে দিন তারিখ উল্লেখ করেছে তা রেজিষ্টারে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া যশোর শাহনাজ হোটেলের ম্যানেজার সুজন কুমার ঘোষ এবং বেনাপোল ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার শাহজাহান জানায় তাদের হোটেলে ২০২৫ সালের রেজিষ্টারে জসিম উদ্দিন ও নিলা নামে কোন কাস্টমার রেজিষ্টার অন্তর্ভুক্ত নাই। এ ব্যাপারে ওই হোটেলের ব্যবস্থাপকরা তাদের প্যাডে লিখিত দিয়েছে এবং উল্লেখ করেছে আমাদের আবাসিক হোটেল রেজিষ্টারে এই নামে কোন কাস্টমার আসে নাই।
এদিকে জসিম উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি রাজনৈতিক কারনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলা হামলার শিকারও হয়েছি। এক শ্রেনীর কুচক্রী মহল ওই মহিলাকে দিয়ে আমার নামে কুৎসা রটিয়ে মামলা দিয়ে আমাকে ছোট করছে। নিলা নামে মহিলাকে আমি ভাল করে চিনিও না।
আমার বেনাপোল চেকপোষ্টে ব্যবসা থাকার সুবাদে যশোর থেকে অনেক নারী পুরুষ আমার দোকানে পণ্য ক্রয় করতে আসে। হয়ত তাদের মধ্যে থেকে কেউ উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে আমার নামে এ মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে মামলা করা হয়েছে ওই মোবাইল থেকে আমার কাছে নীলা পরিচয় দিয়ে টাকা চাইত তার অসহায়ের কথা বলে। টাকা চেয়ে বলত আমি আপনার দোকানের কাস্টমার। কিছু টাকা মোবাইলে দেন আমি যথা সময়ে দিয়ে দিব। আমি একবার ওই নাম্বারে টাকাও দিয়েছিলাম্ তারপর তার সাথে আমার আর কোন সাক্ষাত হয়নি।
এদিকে নিলার মোবাইলে ফোন দিলে সে জানায় জসিম উদ্দিন এর জন্য আমার স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সে আরও বলেন আমি বেনাপোল এসে বিস্তারিত বলব। এরপর থেকে তার ওই মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
শীর্ষনিউজ/প্রতিনিধি/এম কে