১০:২৩ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, ২০-মে ২০২৫

রাজবাড়ীতে ৯০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত

প্রকাশ : ২০ মে, ২০২৫ ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলায় কোরবানির জন্য ৫৫ হাজার ৭৬০ পশুর চাহিদা রয়েছে। আর কোরবানির উপযোগি ৮৯ হাজার ৫৬৬ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ৩৩ হাজার ৮১৬ টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানির পশুর হাটে পাঠানো যাবে।

 এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরুর চোরাচালান রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী স্থানীয় খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর রাজবাড়ী জেলার ৫ উপজেলায় ৮৯,৫৭৭ টি হাজার  পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে  ষাঁড় গরু ২২,৮৭৬  হাজার , বলদ গরু ৩,২৮৩, গাভী ৩৯৫৮  মোট  গরু ৩০,১১৭, মহিষ ২৩২  হাজার, ছাগল  ৫৮ হাজার ৭৪০টি এবং ভেড়া ৪৭৩ টি অন্যান্য ৪ টি সহ মোট ৩৩ হাজার ৮১৬টি পশু আসন্ন কোরবানিতে জেলার চাহিদা মেটানোর পরেও উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা দেশের অন্যান্য জেলায় তা সরবরাহ করতে পারবেন।

রাজবাড়ী জেলার ৫ উপজেলায় ছোট- বড় মোট সাড়ে ৭,৭০৮হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে। 

বালিয়াকান্দিতে উপজেলার পদমদি গ্রামের বজলুর রহমান, আলী হোসেন, খলিলুর রহমান ও আজাদ হোসেন  জানান, সব খামারেই কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে। রাজবাড়ীর খামারগুলোতে নিরাপদ খাদ্য ও  স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে গবাদিপশু লালনপালন করা হয়। 

গরু ব্যবসায়ী রহমান আলী, হোসেন আলী ও মিজানুর রহমান বলেন, এবার কোরবানি সামনে রেখে বড় বড় খামারের পাশাপাশি গ্রামের কৃষক পরিবারগুলো বাড়িতে বাড়িতে গড়ে ৩- ৪টি করে গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন।

স্থানীয় খামারি ও গবাদি পশুর ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর জেলার স্থানীয় বাজারে কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না। বরং কোরবানির জন্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও অন্তত প্রায় ৩৩,৮১৬ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। ফলে এসব পশু দেশের অন্যান্য জেলার পশুহাটে সরবরাহ করা যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন জানান, নিরাপদ গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে  জেলার খামারিরা মাংস উৎপাদনে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। জেলায় ৭,৭০৮ হাজারেরও বেশি খামারি রয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাধ্যমে খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও গবাদিপশুর চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রাজবাড়ী  জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য একলাখ ৫৫ হাজার  ৭৫০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জেলার খামারগুলোতে স্থানীয় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা।

শীর্ষনিউজ/এওয়াই