প্রনব কুমার পাল, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ হত্যা মামলার এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম নাহারুল মৃধা (৫৮)।
শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চকরাজাপুর ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সীমান্ত পিলার ৮৪/২-এস থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার ভেতরে উদয়নগর বিওপির আওতায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার নাহারুল মৃধা উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মৃত জানবান মৃধার ছেলে। অভিযানে তার কাছ থেকে দেশে তৈরি একটি পাইপগান, একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক দাম ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রথমে নাহারুল মিথ্যা নাম-পরিচয় দিলেও পরে বায়োমেট্রিক যাচাই ও নথিপত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
জানা যায়, তিনি ২০২২ সালের একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। মামলাটিতে অন্য আসামিরা ৩০ বছরের সাজা পেলেও তিনি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। প্রায় চার মাস আগে তিনি গোপনে দেশে ফিরে এসে পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একই ঘটনায় জড়িত আরও তিনজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন, রাখি মন্ডল (৪০), বিপ্লব (২৯) ও কট জাহাঙ্গীর মিয়া (২৬)। তিনজনই দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পলাতক রাখি মন্ডল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ। বিপ্লব ও ‘কট’ জাহাঙ্গীর ‘লালচাঁদ সন্ত্রাসী গ্রুপ’- এর সক্রিয় সদস্য। তারা ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার সঙ্গেও জড়িত। বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোনসহ দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শীর্ষনিউজ/প্রতিনিধি/এম কে