বুধবার, ২১-মে ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
  • জেলা সংবাদ
  • »
  • শ্রেণিকক্ষে ধূমপান নিয়ে সংঘর্ষে গ্রামবাসী, ৮ জনের অবস্থা গুরুতর 

শ্রেণিকক্ষে ধূমপান নিয়ে সংঘর্ষে গ্রামবাসী, ৮ জনের অবস্থা গুরুতর 

shershanews24.com

প্রকাশ : ২০ মে, ২০২৫ ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, রাজশাহী: শ্রেণিকক্ষে ধূমপান করা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আট জন  গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) রাতে রাজশাহীর চারঘাটে চারা বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাওদাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ঈদের লম্বা ছুটি থাকবে, তার আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ থাকলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে। 

এলাকাবাসী জানায়, রোববার সকালে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিজভী আলী নবম শ্রেণির কক্ষের পেছনে বসে ধূমপান করছিল। এ ঘটনায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুর্জয় ইসলামসহ কয়েকজন তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত রিজভী বন্ধু ইমন আলীসহ কয়েকজনকে নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে দুর্জয়কে মাঠে ডেকে বেধড়ক মারধর করে। দুর্জয়কে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ওয়াজ নবী ঘটনাটি মীমাংসা করতে সোমবার দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবককে আসতে বলেন। এক পক্ষ না আসায় মীমাংসা হয়নি। 

শ্রীখণ্ডী গ্রামের আহত দুর্জয়ের স্বজনরা লোকজন নিয়ে রাত ৮টার দিকে চারা বটতলা গ্রামে রিজভী ও ইমনের বাড়িতে হামলা করেন। তারা ইমনের চাচা মিঠুর বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। বাধা দিলে সাদিকুল ও ইমনকে মারধর করা হয়। এ অবস্থায় মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শ্রীখণ্ডী গ্রামের লোকজনকে প্রতিহত করতে আহ্বান জানালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুর্জয়ের বাবা সওদাগর আলী, আরজ আলী ও পলাশ হোসেনসহ দুই পক্ষের আটজন আহত হন।

চারা বটতলা গ্রামের হামলার শিকার মিঠু আলী বলেন, দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্ব হয়েছে। আমি কিছুই জানি না। অথচ আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা না দিলে আরও বেশি ক্ষতি হত। 

শ্রীখণ্ডী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বলেন, দুর্জয়কে দলবল নিয়ে রিজভী মারধর করেছে। বিষয়টি জানানোর জন্য তাদের বাড়িতে গেলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আবারও মারধর করা হয়। দুর্জয়ের বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি মৃত্যুশয্যায়।  
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজ নবী বলেন, এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিদ্যালয় তিন দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দুই পক্ষে মীমাংসা হলে ক্লাস যথারীতি শুরু হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। 

(শীর্ষনিউজ/ক.ম )