০৪:৪৮ অপরাহ্ন সোমবার, ১২-মে ২০২৫

১ মণ ধানেও মিলছে না এক ‘কামলা’

প্রকাশ : ১১ মে, ২০২৫ ০৭:৩২ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ,দেওয়ানগঞ্জ: ১ মণ ধানেও মিলছে না একজন কামলা (শ্রমিক)। দেওয়ানগঞ্জে সর্বত্র ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুম চলছে। প্রতিজন কামলা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১শ টাকা। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না এ সব কৃষি শ্রমিকদের। 

কয়েক দিনের মধ্যে ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কেটে মাড়াই কাজ শেষ করার জন্য। এর মধ্যে ধান কাটার ভরা মৌসুমে কয়েক দিন ধরে চলছে টানা তাপপ্রবাহ। গরম আর রোদে কামলারা জমিতে কাজ করতে চাইছেন না।

কৃষকরা বলছেন, এখন আবহাওয়া ভালো, রোদ আছে, ধান ভুট্টা কেটে শুকানোর উপযুক্ত সময়। উঠতি ফসল পাকা বোর ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানখেত নষ্ট করে ফেলছে। এই এলাকায় আগে কখনো এ জাতের পোকা ছিল না। কারেন্ট পোকা যে জমিতে ঢুকছে কিছু সময়ের মধ্যেই সেই জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কৃষকরা চড়া দামে কামলা দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই করছেন।

দেওয়ানগঞ্জের হাট বাজারে বর্তমানে কাঁচা ধান ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামলাদের নগদ জনপ্রতি ১ হাজার টাকা ও দুই বেলার খাবারের খরচসহ প্রায় ১ হাজার ২শ টাকা পড়ছে।

দেওয়ানগঞ্জ পৌর এলাকার নারী কৃষক সুরজা বেগম বলেন, কাজ করে বাজারে এক মণ ধান ৯শ টাকা, কামলাকে দিতে হয় ১ হাজার টাকাসহ দুই বেলা খাবার। ধানখেত পোকায় নষ্ট করে ফেলছে। ধানের দামের চেয়ে কামলার দাম বেশি।

কৃষি শ্রমিক নুরুজ্জামান বলেন. অভাবের সংসার তাই বাধ্য হয়ে রোদে পুড়ে ধান কাটতে হয়। শরীর জ্বালা পোড়া করে। অসহ্য যন্ত্রণা। সকাল ৭টা থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা ধান কাটতে হয়। অনেকেই চুক্তিতে কাজ করছেন। বৈশাখের প্রায় শেষ, কয়েক দিন পর ঝড় বৃষ্টি হবে, ফসল নষ্ট হবে, তাই কৃষক তাড়াহুড়া করে জমি থেকে পাকা ধান ও ভুট্টা কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত। প্রচণ্ড রোদে কৃষক পরিবারের শিশু নারীরাও জমিতে ধান ও ভুট্টা কাটার কাজ করছেন। 

কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ধান কাটতে খুবই কষ্ট হয়। তাই গরমে বাধ্য হয়ে কাজ করছি। সংসারে অভাব ও প্রয়োজন মেটাতে কাজ করতে হয়।


শীর্ষনিউজ/ইমরান