
shershanews24.com
প্রকাশ : ০৯ মে, ২০২৫ ০৪:১৮ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ, ঢাকা: টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বস্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং সীমিত সম্পদের কার্যকর ও প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্য সমাধানে অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সালের ‘টাইম১০০ হেলথ’ তালিকায় ডা. তাহমিদকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ম্যাগাজিনটি।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিডিডিআর,বি এই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্বস্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তিকে স্বীকৃতি জানাতে টাইম ম্যাগাজিন তাদের বার্ষিক ‘টাইম১০০ হেলথ ২০২৫’ তালিকায় আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ-কে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই স্বীকৃতি ডা. তাহমিদের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং সীমিত সম্পদে কার্যকর ও প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্য সমাধান তৈরিতে অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। তার নেতৃত্বে আইসিডিডিআর,বি আধুনিক গবেষণা ও জীবনরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।’
এতে আরও জানানো হয়, ডা. তাহমিদ আগামী ১৩ মে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ‘টাইম১০০ ইমপ্যাক্ট ডিনার: দ্য লিডারস শেইপিং দ্য ফিউচার অব হেলথ’ অনুষ্ঠানে অন্যান্য সম্মানিতদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে তিনি একটি অনুপ্রেরণাদায়ক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেবেন, যা টাইমের একটি ঐতিহ্য—বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতে ভবিষ্যতের পথনির্দেশক কণ্ঠগুলোর উপর আলোকপাত করবে। তার বক্তব্য টাইমের সম্পাদকীয় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।
আইসিডিডিআর,বির ভাষ্য, ডা. তাহমিদ আহমেদের এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস—যারা অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও গভীর আন্তরিকতার মাধ্যমে বৈশ্বিক মঞ্চে স্থান করে নিতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে ডা. তাহমিদ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টাইমের ২০২৫ সালের হেলথ১০০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া অনেক সম্মানের বিষয়। এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয়—এটি আইসিডিডিআর,বির প্রতিভাবান বিজ্ঞানী, কর্মী, আমাদের বৈশ্বিক অংশীদার এবং যেসব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা কাজ করি, তাদের সকলের। টাইমের এই আলোকপাতের জন্য আমি কৃতজ্ঞ, যা অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই এবং জীবনমান উন্নয়নকারী বিজ্ঞানে বিনিয়োগের গুরুত্বকে তুলে ধরবে—যুদ্ধ, সংঘাত বা বিভাজনে নয়, বরং সমতা, স্বাস্থ্য এবং মানব মর্যাদায়।’
শীর্ষনিউজ