শীর্ষনিউজ, ঢাকা: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি অন্তরে যা ধারণ করতেন, মুখে তাই বলতেন এবং কর্মের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতেন। তার কাজে ও কর্মে প্রধান লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জনগণের সন্তুষ্টি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। তার জনপ্রিয়তা কেবল নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। তিনি বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সফরসঙ্গীদের ১ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভা হয়। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
‘ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট শহিদ ইব্রাহিম রায়িসির গভার্নেন্স মডেল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজধানীর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মৌলানা ফাহিমুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন রাষ্ট্রনয়াকের যত ভালো গুণ থাকা দরকার ছিল তার সকল গুণই আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির মধ্যে বিদ্যমান ছিল। তিনি পবিত্র কুরআনের নির্দেশনাকে যথাযথভাবে তাঁর জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি অন্তরে যা ধারণ করতেন, মুখে তাই বলতেন এবং কর্মের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতেন। তার কাজে ও কর্মে প্রধান লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জনগণের সন্তুষ্টি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। তার জনপ্রিয়তা কেবল নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। তিনি বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ইব্রাহিম রায়িসি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনায় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বে বিশেষ করে বিশ্বের সকল মানবতাবাদী মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার শাহাদাতে সারা বিশ্বের মানুষ কেবল শোক ও সহমর্মিতা জানিয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জাতীয়ভাবে শোক পালন করেছে। তাকে বলা হতো জনতার প্রেসিডেন্ট। তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল।
বক্তারা বলেন, আয়াতুল্লাহ রায়িসি নিজ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তেমনি বৈদেশিক কূটনীতিতেও রয়েছে তার অনেক বড় সফলতা। তার প্রশাসনের সবচেয়ে গৌরবময় প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি ছিল ফিলিস্তিন এবং সেখানকার প্রতিরোধের বিষয়ে বাস্তবিকভাবে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করা। এক্ষেত্রে তার ভূমিকা সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
(শীর্ষনিউজ/ক.ম)