শীর্ষনিউজ, ঢাকা : মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। উচ্চগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন এই সংযোগ পেতে হলে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
প্রথমে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন দেখাবে। রেসিডেনশিয়ালে ‘অর্ডার নাউ’ অপশনে গিয়ে নিজের স্থান নির্বাচন করতে হবে। তবে সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।
এরপর চেকআউট অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে ‘প্লেস অর্ডার’ ক্লিক করতে হবে।
তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। স্টারলিংক বলছে, গ্রাহক খুব সহজে নিজেই এটি সেট করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বাজারে মঙ্গলবার (২০ মে) বাণিজ্যিক সেবা শুরু করে স্টারলিংক। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। স্টারলিংকও গতকাল এক্সে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
স্টারলিংকের ‘সেটআপ’ সরঞ্জামের জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। দুটি প্যাকেজ এখন পর্যন্ত চালু করেছে তারা। স্টারলিংক রেসিডেন্সের মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটের খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা।
একটা ‘ডিভাইস’ (যন্ত্র) থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। গ্রামে তা ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হবে। এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন।
উচ্চগতির জন্য স্টারলিংক জনপ্রিয়। বলা হয়, প্রত্যন্ত বা দুর্গম অঞ্চল, যেখানে প্রথাগত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারে না, সেখানে স্টারলিংক সহজেই সেবা দিতে পারে। স্টারলিংকে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতিতে আনলিমিটেড (সীমাহীন) ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
শীর্ষনিউজ/এনআরএফ