০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন বুধবার, ২১-মে ২০২৫

ইডেন ছাত্রীকে ৭ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন নোবেল

প্রকাশ : ২০ মে, ২০২৫ ০২:২৪ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না  সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের। এবার গুরুতর অভিযোগে উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে সাত মাস ধরে ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন তিনি। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে পুলিশ বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় নোবেলকেও।

মঙ্গলবার (২০ মে) সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান। তিনি জানান, সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন নোবেল। যদিও তিনি তাকে বিয়ে করেননি।

ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে গুলশানে দেখা করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে ডেকে নেন নোবেল। পরে তাকে ডেমরার একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে টানা সাত মাস আটকে রাখেন। এ সময় তিনি ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ধর্ষণের দৃশ্য মুঠো ফোনে ধারণ করে পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নোবেল এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাচ্ছেন। ওসি জানান, ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারীই ভুক্তভোগী ছাত্রী। ভিডিওটি দেখার পর মেয়েটির বাবা-মা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে বিস্তারিত জানতে পারেন। পরে তারা ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান নোবেল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে ডেমরা এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়।

ওসি মাহমুদুর রহমান আরও জানান, গ্রেফতার এড়াতে নোবেল দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এজন্য তিনি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে আটক করা সম্ভব হয়।

নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানার ওসি। তিনি বলেন, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগেও মামলা হয়েছে।

শীর্ষনিউজ/এওয়াই