শনিবার, ২৪-মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • জাতীয়
  • »
  • সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন

shershanews24.com

প্রকাশ : ২৩ মে, ২০২৫ ১০:৩৭ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি পেতে হলে দেশের স্বার্থকে সংরক্ষণ করবে এমন নিরাপত্তানীতি প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি ভারতের বিকল্প বন্ধু রাষ্ট্র অনুসন্ধানও জরুরি।

আজ শুক্রবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে আলোচকেরা এ কথাগুলো বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস (এনডিজে) নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম জিয়াউল আহসান। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের জীবনমানের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি স্বাবলম্বী ও নিরাপদ অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।

মূল প্রবন্ধে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিদেশি প্রভাবমুক্ত রাখা, সশস্ত্র বাহিনীর জাতীয় আনুগত্য নিশ্চিত করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সন্ত্রাস, মাদক ও অপরাধ দমনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠনে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ভারত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু তাদের এখনকার আচরণে তিনি মনে করছেন, ভারতের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তান ভাঙা। ভারত বাংলাদেশের বন্ধু নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বন্ধু খুঁজে বের করতে হবে। যে রকম বন্ধু থাকলে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা যায়।’

এ সময় দেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান সব পক্ষকে ঐক্য ধরে রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অনৈক্যের সৃষ্টি হলে কোন সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে, জানি না।
সেমিনারে আধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তিতে সক্ষমতার ওপর জোর দেন সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তী যে যুদ্ধ, সেখানে এআইয়ের ব্যবহার হবে; কোনো মানুষ থাকবে না। বাংলাদেশকেও সেই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো অধ্যাপক এম এ রশীদ। তিনি বলেন, দেশের সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নিতে পারবে, এমন নিরাপত্তানীতি প্রণয়ন করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দলের চিন্তন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপত্তানীতি নিয়ে আলোচনা তুলতে হবে।

এনডিজের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মোহাম্মদ হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এনডিজের সাধারণ সম্পাদক চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সাংবাদিক রেজাউল করিম প্রমুখ। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পক্ষে বক্তব্য দেন গুলিতে আহত শিক্ষক নেসার উদ্দীন।

শীর্ষনিউজ/এ. সাঈদ