সোমবার, ১৯-মে ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
  • জাতীয়
  • »
  • গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করেছে বিএনপি: আসিফ মাহমুদ

গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করেছে বিএনপি: আসিফ মাহমুদ

shershanews24.com

প্রকাশ : ১৯ মে, ২০২৫ ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকাঃ মহানগর বিএনপি গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। 

সোমবার (১৯ মে) বিকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

দশটা পয়েন্ট উল্লেখ করে ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, 

  • প্রথমত, আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এ রায় প্রদান করেছে।
  • দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
  • তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
  • চতুর্থত, উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিলো না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
  • পঞ্চমত, শপথ না দেয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন।
  • ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত মামলায় আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
  • সপ্তম, মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
  • অষ্টম, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে কোনওপ্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোন নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
  • নবম, এ জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
  • দশম, আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।

তিনি আরও লিখেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এ আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

আসিফ লিখেন, এ সকল জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোনও সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এ আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনও কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেও বলবেন না যে, এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতা-কর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

উল্লেখ্য, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ প্রেক্ষিতে পঞ্চম দিনের মতো ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি’র মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। বর্তমানে নগর ভবন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

শীর্ষনিউজ/এওয়াই