০২:২০ পূর্বাহ্ন সোমবার, ২৬-মে ২০২৫

পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

প্রকাশ : ২৫ মে, ২০২৫ ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকা:  সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে এ আন্দোলন। 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করতে যাচ্ছেন।

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে তারা এই কর্মসূচি দিয়েছেন।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব দাবিতে গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ মে থেকে রোববার পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন শিক্ষকরা।

মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে দ্বাদশ গ্রেডে নির্ধারণ ও চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে একাদশ গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের একাদশ গ্রেডে বেতন।’

তিনি বলেন, ‘আর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে আমরা কাল থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব।’
সারাদেশের ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

আনিসুর বলেন, ‘মহাপরিচালকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে একাদশ গ্রেডে বেতনের প্রস্তাব পাঠানোর কথাও বলেছেন। তবে আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই।’

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ত্রয়োদশ গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা একাদশ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বয়াক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে।

কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।

কমিটি সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক পদে দ্বাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

এরপর গত ২৪ এপ্রিল একাদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে এবং ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন দ্বাদশ গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শীর্ষনিউজ/বান্না
 

এই পাতার আরো খবর