
shershanews24.com
প্রকাশ : ২১ মে, ২০২৫ ০৭:১৯ অপরাহ্নশীর্ষনিউজ, ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ স্কুল মাঠে রাস্তা নির্মানের বিরাট সরঞ্জাম মজুদ। দিনভর ভারি মিকচার মেশিনের ঘড় ঘড় শব্দ। ধোয়া আর ধুলার কুন্ডলিতে শ্রেনী কক্ষে বসতে পারে না শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যায়ের পাঠদান। স্কুলটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের অবস্থিত।
সরজমিনে দেখা গেছে, কালীচরণপুর গ্রামে মোসলেম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সড়ক নির্মাণের পাথর-বালি ও বিটুমিনের ব্যারেল পড়ে আছে। পাশেই চলছে বিটুমিন জ্বালানোর কাজ। এতে ঘন কালো ক্ষতিকর ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে পুরো এলাকায়। ধোঁয়া এড়াতে স্কুলের বারান্দা ঢেকে ফেলা হয়েছে পলিথিনে। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যহানীর শঙ্কায় বেলা ১১টার দিকে স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ওই স্কুলের ছাত্র সাকিব হোসেন ও ছাত্র সুমাইয়া জানান, তাদের স্কুলের মাঠে রাস্তার নির্মাণের পাথর, বালু ও পিচ জ্বালানোর কাজ করছে। স্কুলের মাঠ জুড়ে পাথর ছড়িয়ে আছে। কালো ধোয়ার কারণে ক্লাসে বসা যাচ্ছে না। ভারী যানবাহন চলাচল করার ফলে স্কুল মাঠও কাঁদায় নষ্ট হয়েছে। তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলিবর্দ্দি বিশ্বাস বলেন, স্কুলের মাঠে সড়ক নির্মাণ সামগ্রী রাখার ব্যাপারে তিনি বিরোধীতা করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে কিছু করতে পারিনি। ফলে বাধ্য হয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে থেকে নারিকেলবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয় চার মাস আগে। ওই সড়ক নির্মাণের জন্য পাথর-বালি ও বিটুমিনের ব্যারেল রাখা হয় মোসলেম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। ঠিকাদার মিঠু খান ও রাসেল আহমেদ স্কুল মাঠে মালামাল রেখেছেন এবং তারা স্কুল মাঠেই বিটুমিন জ্বালানোর কাজ করছেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মিঠু খান বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক ছিলো। এলাকার মানুষ ও স্কুল কমিটির লোকজন সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুলের মাঠ ব্যবহারের জন্য আমাদের অনুমতি দেন। বিটুমিন এক থেকে দুইদিন জ্বালানো হয়। মাঠে ধান ও অন্যান্য ফসল থাকায় আমরা খোলা জায়গা না পেয়ে স্কুলের মাঠ ব্যবহার করেছি।
সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্কুলের মাঠে মালামাল রেখেছেন কিনা জানা নেই। যদি স্কুল মাঠে নির্মান সামগ্রী রাখেন, তবে তারা ভুল করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি যদি চায়, তাহলে তারা স্কুলমাঠ ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারে। তবে পাঠদান ব্যাহত হয় বা শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হয়, এমন কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
শীর্ষনিউজ/এওয়াই