
shershanews24.com
প্রকাশ : ১১ মে, ২০২৫ ০৭:৩৪ অপরাহ্নশীর্ষ নিউজ, ফরিদপুর : সড়ক মেরামতের কাজ শেষ নওয়ার একদিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পাথর ও পিচের কার্পেটিং। ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোড় থেকে মৃধা ডাঙ্গী পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজ ৮ মে শেষ হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়কটি মেরামত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ময়লার ওপরই দেওয়া হয়েছে পিচ ঢালাই। কোথাও কোথাও ময়লার ওপরই দেওয়া হয়েছে পিচ ঢালাই। ফলে উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ। পথচারীদের পায়েও লেগে যাচ্ছে পিচ। আবার যানবাহনের চাকার দাগ বসে যাচ্ছে সড়কে। এমনকি হাতের টানে অথবা পা দিয়ে ঘষলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাইচার মোড় থেকে মৃধা ডাঙ্গী (গোপালপুর লঞ্চঘাট মোড় থেকে মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরমধ্যে ১ কিলোমিটার সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে। আর এক কিলোমিটার সড়ক সিলকোর্ট হওয়ার কথা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, সড়কটি ৭-৮ মাস আগে শুরু করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। তখন চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষের। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পর কাজ করার একদিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। নিচে খোয়ার বদলে পোড়া মাটি দেওয়া হয়েছে। এক কথায় নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এর একটি বিহিত হওয়া দরকার।
ঠিকাদার নিজাম উদ্দিন বলেন, কাজটি আমার ছেলে নাসিম আহমেদ মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে কিনে করছেন। তবে কাজে একটু সমস্যা হয়েছিল। যেখানে সমস্যা ছিল সেখানে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) আব্দুস ছাত্তার বলেন, সড়ক কার্পেটিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে টেনে তুললে উঠবে এটা স্বাভাবিক। এজন্য সময় দিতে হবে। কমপক্ষে পাঁচদিন পর হাত দিয়ে আর টানাটানি করলেও উঠবে না। কাজের পর বিটুমিনে হিট থাকে, কয়েকদিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও কাজের মান ১৯/২০ হতে পারে। অভিযোগের পর উপসহকারী প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি দেখা ও সঠিক সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ নিউজ/প্রতিনিধি/ এনআরএফ