০৮:২২ অপরাহ্ন বুধবার, ১৪-মে ২০২৫
  • জাতীয়
  • »
  • প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের বিবৃতি

কেন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, নিষেধাজ্ঞার আওতায় কারা? 

প্রকাশ : ১৩ মে, ২০২৫ ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে দলটির পক্ষে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  তবে এ প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে না। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের পর বিষয়টির ব্যাখ্যা করে সোমাবর রাতে বিবৃতি প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ১২ মে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। ওই আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ) কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এতে আরও বলা হয়, এ প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনি বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপন দ্বারা খর্বিত করা হয়নি।


আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রায় ১৫ বছর বিশেষ করে গতবছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলা গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। উল্লিখিত অপরাধসমূহের অভিযোগে এই সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং সংগঠনগুলো কর্তৃক গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে হামলা ও উসকানি প্রদানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করা হচ্ছে। বিশেষ করে করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে এবং এভাবে বিচার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকালের প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।

শীর্ষনিউজ/ফারুক