শীর্ষনিউজ ডেস্ক, সৌদি আরব: সৌদি আরব সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সফরকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘ঐতিহাসিক’ সফর বলে অভিহিত করেছেন। সফরকালে গাজা নিয়ে জরুরি কূটনীতির সঙ্গে বিশাল ব্যবসায়িক চুক্তির মিশ্রণ ঘটাবে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার ট্রাম্পের আঞ্চলিক সফরের সময় রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই অংশীদারত্বের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, খনি এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি।
সফরকালে দেশ দুটির মধ্যে যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তি, যার আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্য সামরিক উপকরণ ক্রয় রয়েছে। এ প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম ও পরিবহন বিমান কেনার বিষয়টিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেন ট্রাম্প। সৌদির রাজধানীর কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ফোর্স ওয়ানে নামার পর ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
এরপর দুই নেতা রিয়াদ বিমানবন্দরের একটি বিশাল হলে ফিরে যান, যেখানে ট্রাম্প এবং তার সহযোগীদের আনুষ্ঠানিক বন্দুক-বেল্ট পরা অপেক্ষমাণ পরিচারকরা ঐতিহ্যবাহী আরবি কফি পরিবেশন করেন।
রাজকীয় সৌদি বিমান বাহিনীর এফ-১৫ বিমানগুলো রাজধানীর কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়ানের জন্য সম্মানসূচক এসকর্ট প্রদান করে। ট্রাম্প এবং যুবরাজ সালমান সৌদি রয়েল কোর্টে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।
পরে যুবরাজ ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে আপ্যায়ন করবেন। ট্রাম্প মঙ্গলবার একটি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলনেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরেই সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিল জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় ২০২১ সালে।
ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।
এর আগে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডও দেশ দুটির সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন।
যদিও এ অভিযোগ সৌদি আরব সবসময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে। সূত্র: আরব নিউজ ও বিবিসি।
শীর্ষনিউজ/ফারুক