সোমবার, ১৯-মে ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
  • জাতীয়
  • »
  • ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব: আলী রীয়াজ

ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব: আলী রীয়াজ

shershanews24.com

প্রকাশ : ১৮ মে, ২০২৫ ০১:১০ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের একার কাজ নয়। এটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সামাজিক ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

রোববার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় শুরুর পর্বে এ কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, “অনেক বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, আবার কোনো কোনো বিষয়ে দ্বিমত রয়ে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে জামায়াতের পক্ষ থেকে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কিছু বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে এবং যেগুলো পুনরায় আলোচনার সুযোগ আছে।”

তিনি বলেন, “আমরা একটি জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হতে চাই। সে জায়গায় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনাগুলো আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই সমাপ্ত করতে পারলেই আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবো। আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত জায়গায় মতভিন্নতা, ভিন্নমত আছে বা ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে না। সেগুলোর ব্যাপারেও আমরা অগ্রসর হতে পারবো। সেদিক থেকে বিবেচনা করে স্মরণ করে দিতে চাই, প্রায় দুই মাস ধরে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
পাশাপাশি এটাও স্মরণ করা দরকার যে আমরা এই টেবিলে আসার জন্য আমাদের অনেক প্রাণ দিতে হয়েছে। অনেক রক্তপাতের মধ্য দিয়ে আমরা এখানে এসেছি। যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের দায় এবং দায়িত্ব রয়েছে। এটা আমাদের সবাইকে স্মরণে রাখতে হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “এটা কেবল একমাত্র জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্ব নয়। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আসলে রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর দায়িত্ব। সবাই আন্তরিক, সবাই চান এবং আমি বিশ্বাস করি সবার প্রচেষ্টায় নিঃসন্দেহে সফল হবে। এই আলোচনার পরও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায়ও কিছু বিষয় থাকবে যেগুলো আমরা আজই মীমাংসা করতে পারবো তা নয়, যদি সেটা সম্ভব হতো তবে তা হতো সকল বিবেচনায় অনেক ভালো।”

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠক জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিশন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নেতৃত্বে দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ও বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

শীর্ষনিউজ/এনআরএফ