০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন সোমবার, ১৯-মে ২০২৫

ভারতের অরুণাচল এখন চীনের দখলে, জনসম্মুখে আসতে ভয় পাচ্ছে মোদি

প্রকাশ : ১৮ মে, ২০২৫ ০৩:০১ অপরাহ্ন

শীর্ষনিউজ ডেস্ক: কোন দিক দিয়েই যেনো স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদির দেশ ভারত। প্রতিবেশী প্রায় সব দেশের সাথেই তাদের বিরোধ দৃশ্যমান। এক কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির সেনারা। যুদ্ধে জড়িয়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় দেশটির। যা নিয়ে রীতিমতো মোদি বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল এখন গোটা ভারত। এর মাঝেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নতুন নাম ঘোষণা করে সেগুলোকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। 
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা এখন। একে দেশটির বর্তমান অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। রিজার্ভও গিয়ে ঠেকেছে তলানীতে। আর পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে তো ফকির হবার দশা তাদের। এর মধ্যেই চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয় গত ১১ ও ১২ মে অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তা প্রকাশ করে। এসব নামকরণ চীনা ভাষায় করা হয়। অরুণাচল প্রদেশের নাম দেওয়া হয়েছে “জাংনান”।
গত কয়েক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারতের ভিতরে বিদ্রোহ এবং ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ এই অস্থিরতার মূল উপাদান। এই অঞ্চলের মধ্যে ভারতের অবস্থান সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কারণ ভারতের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বিশেষ করে বিশাল পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায়।
চীন দীর্ঘদিন ধরে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ দাবি করে আসছে এবং সাম্প্রতিক দিনে অরুণাচলের ২৭টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে অর্থহীন ও হাস্যকর বলে বর্ণনা করলে চীনের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি এসেছে যে অরুণাচল চীনের স্বত্বাধিকারের অংশ। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পেছনে চীনের ভূমিকা স্পষ্ট হয়েছে, যেখানে চীনের সহায়তায় পাকিস্তান ভারতের রাফাল বিমান ধ্বংস করেছে।
এই যুদ্ধের পর ভারতে মোদি বিরোধী গণআন্দোলন শুরু হয় যার ফলশ্রুতিতে প্রশাসনিক দমন-পীড়ন এবং গুলিবর্ষণসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে। এছাড়া ভারতের বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য সংকোচনের ফলে কলকাতার ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যা বিস্তৃত জনমানসে আলস্য ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
২০২৪ সালের তালিকায় পাহাড়, নদী, হ্রদ, পর্বত গিরিপথ, আবাসিক এলাকা ও জমিসহ বিভিন্ন ভূ-অবস্থানের নামও দিয়েছিলো তারা। একে পাকিস্তানের পরম মিত্র চায়না আর ভারতের সাথে চীনের বিরোধ চলে আসছে অনেক আগে থেকেই। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদির যেনো এখন রাতের ঘুম হারাম। একদিকে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্ব পাকিস্তানের সাথে আর অন্যদিকে নতুন করে আবার যোগ হলো অরুণাচলকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।  মোদির কিছু ভুল সিদ্ধান্তে জন্য ভারতের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। এতে করে গোটা ভারতজুড়ে মোদি বিরোধী েিক্ষাখ করছে। ইতোমধ্যে সংসদেও মোদিকে তুলোধুনা হতে হয়েছে। ফলে অরুণাচল ইস্যুতে মোদি এখন জনসম্মুখে আসতে ভয় পাচ্ছে। 

শীর্ষনিউজ/এম

এই পাতার আরো খবর