শীর্ষনিউজ, জেলা: নবীগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুই আওয়ামী লীগ নেতার মতবিরোধ ও বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন।
সোমবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের ফিংলী নদীর উত্তরপাড় মসজিদের নামকরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সংঘটিত হয়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে। আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ৫ জন সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ মিয়া চৌধুরী গংদের সঙ্গে একই গ্রামের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরীর বিরোধ চলে আসছিল।
এর জেরে আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ মিয়া, আশরাফ মিয়া গংরা মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। এ নিয়ে মসজিদের মোতাওয়াল্লি আওয়ামী লীগের নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী গংদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
মসজিদের পঞ্চায়েত পক্ষে সালেহ আহমদ হঠাৎ করে নাম পরিবর্তন কেন করা হয়েছে জানতে চান মাহমুদ মিয়া ও আশরাফ মিয়া গংদের কাছে। এ নিয়ে দুপক্ষের বাগবিতণ্ডা চরম আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ঘে জড়িয়ে পড়েন। রাতের অন্ধকারে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘটিত সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত মাহমুদ মিয়া, মুনাইম, হুসেইন মিয়া, জিতু মিয়া, রায়েদ চৌধুরী আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা মাহমুদ মিয়া, আশরাফ মিয়া গংরা মসজিদ কমিটিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। মসজিদের পঞ্চায়েত পক্ষে আমি জিজ্ঞেস করি, হঠাৎ করে কেন মসজিদের নাম পরিবর্তন করা হলো। তাই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ মিয়া চৌধুরী জানান, ১২ বছর ধরে ঘোলডুবা নদীর উত্তরপাড় জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ চৌধুরী। কিন্তু গত ১২ বছরে মসজিদের কোনো হিসাব দেননি। মুসল্লিরা হিসাব চাইলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে কোনো হিসাব দেননি। এ নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও মারামারি হয়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় মামলা দেয়নি ।
শীর্ষনিউজ