শীর্ষনিউজ, ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। আমরা চাই টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন। ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এর বাইরে যাবেন না প্রধান উপদেষ্টা। আগের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিলো কেবল নির্বাচন করা কিন্তু বর্তমান সরকারের দায়িত্ব সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।
এর আগে গত ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃদপিন্ড। এ বন্দর বাদ দিয়ে অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব নয়। প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করছি, কীভাবে এটার পরিবর্তন করা যায়। একটা সত্যিকার বন্দর হিসেবে তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশে, একটা বন্দর কয়েকটা টার্মিনাল নিয়ে কথা বলছি। এ রকম ২০-৩০টা বন্দর টার্মিনাল অনেক দেশের আছে। আমাদের হৃদপিণ্ড দিয়ে রোগী বেশি দিন টিকবে না। কাজেই এটাকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।
প্রধান উপদেষ্টার দেয়া ওই বক্তব্যের পর থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নানা রকম জল্পনাকল্পনা চলছে। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে না দেয়ার দাবি করছে রাজনৈতিক দলগুলো। আবার অনেকেই বন্দর বিদেশিদের হাতে না দিতে আন্দোলনে রাস্তায়ও নেমেছে।
শীর্ষনিউজ/এওয়াই