shershanews24.com
মসজিদ-মন্দিরের ছবি নিয়ে আসছে নতুন নোট
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
shershanews24.com

shershanews24.com

শীর্ষনিউজ, ঢাকা: ব্যক্তির ছবি বাদ দিয়ে ঈদের আগেই নতুন নকশার নোট বাজারে আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

১ হাজার, ৫০ টাকার এবং ২০ টাকার নতুন নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, সেখানে মসজিদ, মন্দির ও ঐতিহাসিক স্থাপনার ও প্রকৃতির ছবি থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলে, তিনটে নোট আসছে বাজারে খুব শিগগিরই। এটা ঈদের আগেই পাবেন আপনারা দেখতে। এখানে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না।

এখানে আমাদের প্রাকৃতিক দৃশ্য, আমাদের কিছু আমাদের ঐতিহ্যবাহী ভবন ইত্যাদি এইসবই থাকবে।

এর আগে বছরের শুরুর দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে নতুন নকশার টাকার নোট আগামী এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে বাজারে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

কী ধরনের স্থাপনার ছবি থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সেগুলো থাকবে। সেটা মসজিদই হোক, মন্দিরই হোক বা অন্যকিছু। সেখানে আমরা কোন পার্থক্য করছি না।

শনিবার পিকেএসএফ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর কথা বলছিলেন।

এ সময় বিদেশের পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন তিনি। বিষয়টিকে তিনি বর্ণনা করেছেন ‘পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট’ হিসেবে।

গভর্নর মনসুর বলেন, আমাদের যে চুরি করা অর্থ আমরা ফেরত নিয়ে আসবো। সব সরকারেরই এটা পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট থাকা উচিত। এটারই পার্ট হিসেবে আমরা এখন দেখছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তারাও কিন্তু একটা চাপের মধ্যে আছে।

ফাইনান্সিয়াল টাইমস বলি, আমাদের লন্ডন টাইমস বলি এরা কিন্তু এবং আলজাজিরা বলি এরা কিন্তু বাংলাদেশের এ অর্থ পাচার করা নিয়ে বড় বড় আর্টিকেল লিখছে। আগামীতে আরও আসবে।

গভর্নর বলেন, এ ব্রিটিশ এমপি উনারাও কিন্তু এখানে সাপোর্ট দিচ্ছেন। ব্রিটিশ প্রেসের বাইরে এনজিও যারা আছেন তারা এটাকে সাপোর্ট করছেন। ফলে আমি মনে করি যে একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

গর্ভনরের কথায়, পাচারের টাকা ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার ‘কাজ করছে’।

আমি দুবাই গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে এবং প্ল্যান করছি সিঙ্গাপুরে যাবো। আমাদের লন্ডনে যাওয়ার প্ল্যান আছে আবার আমাদের ইন্টারন্যাশনাল একটা কনফারেন্স করার প্ল্যান আছে এগুলো আমাদের কর্মসূচিতে আছে।আমাদের এটাকে একটিভলি পলিটিক্যাল সার্কেল রাখতে হবে।

এটা না রাখলে পরে এটা ভুলে গেলে এ সম্পদ আসবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা স্মরণ করে দিতে হবে যে এটা নৈতিকতা বিরোধী এটা রাখা ঠিক নয় এটা যার সম্পদ জনগণের সম্পদ ডিপোজিটরদের টাকা এটা তাদেরকে ফিরত দিয়ে দেয়া উচিত এবং সে ব্যাপারে তারা যেন তাদের তৎপরতা দেখান এটাই আমাদের আশা।

বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া সবশেষ নোট ছাপা হয়েছিলো ২০০৯ সালে। তখন গভর্নরের দায়িত্বে থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদ এখন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা। ওই সময় ছাপা লাল রঙের ৫০০ টাকা এবং এক হাজার টাকার কিছু নোট এখনও দেখা যায়।

শীর্ষনিউজ/এওয়াই